রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান ‘টেলিটক’কে প্রমোট করতে শিক্ষাসহ সব মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাইলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডি গভ. বয়েজ হাইস্কুলে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, প্রত্যেকের ভূমিকা আছে টেলিটক’কে প্রমোট করার। শিক্ষাসহ প্রতিটি মন্ত্রণালয় যদি এর সঙ্গে চুক্তি করে, তাদের সব কার্যক্রম অনলাইনে টেলিটকের মাধ্যমে করেন তাহলে এ প্রতিষ্ঠানকে উন্নত ও গতিশীল করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এসময় তিনি টেলিটকের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ৩৫০টি সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলকে এ কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। ২০১৮ সালের মধ্যে ১০ হাজার সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়কে আমরা এর আওতাভুক্ত করতে সক্ষম হব। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৩৬ হাজার সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা ও ডায়নামিক ওয়েবসাইট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার মেধাবীদের জন্য যেসব প্রোগ্রাম করলে টেলিটকের মান যেমন উন্নত হবে তেমনি রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেয়ার বিষয়ে তারানা হালিম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি মনে করে এবং আমাকে যদি নির্দেশ দেয় তবেই খুলে দেয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ওপরই আমাদের নির্ভর করতে হয়। আমরা কারো জীবনের ঝুঁকি নিতে চাই না। তিনি বলেন, আমি সরকারের নির্দেশ পালন করি মাত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের চেয়ে জীবন মূল্যবান। এ ত্যাগের জন্য একটি জীবনও যদি বাঁচে তাহলে সে ত্যাগ স্বীকার করতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, টেলিটক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ ।